
আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত হিটু শেখের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে নান্দু আলী মাঠ পাড়ায় হিটু শেখের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
পরে শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালেও ওই বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়।
প্রতিবেশী রাবেয়া বেগম বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হিটু শেখ ও তার দুই ছেলে এবং স্ত্রীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর এ বাড়িতে তার বৃদ্ধ মা আছেন। বৃহস্পতিবার শিশুটি মারা যাওয়ার পর রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা হিটুর বাড়ি পুড়িয়ে দেন।
তিনি বলেন, সকালে উৎসুক জনতা এসে আবার ভাঙচুর করেন তার বাড়িতে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী বলেন, ধর্ষণের শিশুটির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা প্রধান অভিযুক্ত হিটু শেখের বাড়িতে হামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, তিন আসামির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আদালতে রিমান্ড শুনানিও চলছে। শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত ৫ মার্চ রাতে মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছর বয়সী শিশুটি। ধর্ষক তাকে হত্যারও চেষ্টা চালান। এ ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি মেয়েটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ। পরে গত ৮ মার্চ সংকটাপন্ন শিশুটিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে।
এ ঘটনায় শিশুটির মায়ের করা মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী সজিব শেখ (১৯), সজিব শেখের ছোট ভাই রাতুল শেখ (১৭) ও সজিবের মা জাহেদা বেগম (৪০), বাবা হিটু শেখকে (৪৭) আসামি করা হয়। তারা চারজনই বর্তমানে কারাগারে আছেন।