ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি, 

শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫
জাতীয়মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশনে জুলাই গণহত্যা তুলে ধরবেন ভলকার তুর্ক

মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশনে জুলাই গণহত্যা তুলে ধরবেন ভলকার তুর্ক

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে সংগঠিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদনটি মানবাধিকার কাউন্সিলের আসন্ন অধিবেশনে তুলে ধরবেন।

রোববার (২ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস এ কথা জানান।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান চলাকালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে সম্প্রতি অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

এজন্য সংস্থাটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘ এ প্রতিবেদন প্রকাশ করায় আমরা আনন্দিত। এটি কোনো সহজ কাজ ছিল না। তারপরও সময়মতো এটি প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টাকে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস জানান, আগামী ৫ মার্চ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৫তম অধিবেশনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে সংগঠিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদনটি সদস্য দেশগুলোকে অবহিত করবেন।

প্রধান উপদেষ্টা ২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ পণ্ড করতে চালানো ক্র্যাকডাউন এবং জামায়াত নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে ঘোষিত রায় পরবর্তী বিক্ষোভে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর নির্মমতাসহ বিগত সরকারের শাসনামলের বিচারবর্হিভূত সব হত্যাকাণ্ড নথিভুক্ত করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানান।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব নৃশংসতা যথাযথভাবে নথিভুক্ত করার প্রয়োজন রয়েছে। এগুলো ডকুমেন্টেশন না হলে সত্য জানা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা কঠিন।

এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক লুইস বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশের সক্ষমতা গড়ে তুলতে এবং কারিগরি সহায়তা দিতে জাতিসংঘ প্রস্তুত।

সত্য জানা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটাই ক্ষত নিরাময় এবং সত্য প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া।

আগামী ১৩-১৬ মার্চ বাংলাদেশ সফর করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গুয়েন লুইস আশা প্রকাশ করেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সফরে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সরবরাহ কমে যাওয়ার সংকটটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরে আসবে।

আবাসিক সমন্বয়ক বলেন, প্রতি মাসে রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। অর্থের সংকুলান নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত।

একটি মন্তব্য করতে পারেন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

আরও খবর

সর্বশেষ


- বিজ্ঞাপন -spot_img