গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত কঙ্গো। জানা যাচ্ছে, সেখানকার গোমা শহরে ঢুকে পড়েছে রুয়ান্ডার মদতপুষ্ট এম-২৩ বিদ্রোহীরা। তাদের সঙ্গে কঙ্গোর সামরিক বাহিনীর লড়াই শুরু হয়েছে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন নিহত এবং প্রায় ৩৭০ জন আহত হয়েছেন। যার জেরে শহরের জনজীবন অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
এই পরিস্থিতিতে কঙ্গোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, শাসনক্ষমতার পরিবর্তন ঘটানোই লক্ষ্য রুয়ান্ডাপন্থীদের। এদিকে, গোমা শহরের প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ছাড়াও, সংঘর্ষের জেরে শহরের আশপাশে আরও অনেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে সেখানে থাকা ভারতীয়দের নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে সতর্ক করা হল আটকে থাকা ভারতীয়দের। সেই সঙ্গে জানানো হল হেল্পলাইন নম্বরও।
এদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর বেশ কয়েকটি শহর ও কয়েকটি অঞ্চলে সংঘর্ষের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সেখানে প্রায় ২৫ হাজার ভারতীয় থাকেন। তাদের মধ্যে গোমায় বসবাসকারী ভারতীয়র সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। তারা নিরাপদ স্থানে চলে গিয়েছেন। আমাদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এবং হেল্পলাইন নম্বরও জানানো হয়েছে। কেউ সমস্যায় পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সেই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন।”
এদিকে, অবিলম্বে কঙ্গোতে যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা অবিলম্বে শত্রুতা বন্ধ, অধিকৃত অঞ্চলগুলো থেকে এম২৩ বিদ্রোহীদের সরে যেতে এবং বিদ্যমান আঞ্চলিক শান্তিরক্ষা ব্যবস্থার কাঠামোর মধ্যে আলোচনার প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করতে আহ্বান জানাচ্ছি। এই উত্তেজনাকে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংঘাতে রূপ নিতে দেওয়া যাবে না।
রুশ কূটনীতিক কিনশাসায় বিদেশি দূতাবাসে সাম্প্রতিক হামলার নিন্দাও করেছেন। তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, কেবল সংঘাতে জড়িত সমস্ত আগ্রহী পক্ষের মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে পূর্ব কঙ্গোয় সহিংসতার অবসান অর্জন করা যেতে পারে।