বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ইতোমধ্যে ৩৬টি ম্যাচ সম্পন্ন হয়েছে। সাত দলের মধ্যে রংপুর রাইডার্স ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে। একমাত্র দল হিসেবে বিপিএল থেকে বিদায় নিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্লে-অফ দৌড়ে আছে দুর্বার রাজশাহী, চট্টগ্রাম কিংস, খুলনা টাইগার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালস।
১২ ম্যাচে ৬টি করে জয়-হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়স্থানে আছে রাজশাহী। একমাত্র দল হিসেবে রাজশাহীই লিগ পর্বের সব ম্যাচ খেলে ফেলেছে।
প্লে-অফে খেলার ভালো সুযোগ রয়েছে রাজশাহীর। তবে তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে খুলনার ম্যাচের দিকে। খুলনা নিজেদের বাকী দুই ম্যাচের একটিতে হেরে গেলেই প্লে-অফে খেলবে রাজশাহী। আর যদি খুলনা দুই ম্যাচও জিতে যায় তাহলে রান রেটের হিসাব-নিকাশে নামতে হবে রাজশাহীকে।
আবার যদি চট্টগ্রাম নিজেদের বাকী তিন ম্যাচে হারে সেক্ষেত্রে খুলনার সাথে কোন সমীকরণ মেলাতে হবে না রাজশাহীকে। অনায়াসে প্লে-অফে চলে যাবে রাজশাহী।
৯ ম্যাচে ৫ জয় ও ৪ হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে আছে চট্টগ্রাম। বাকী তিন ম্যাচের ২টিতে জিতলেই প্লে-অফে খেলবে চট্টগ্রাম। একটিতে জিতলেও সুযোগ থাকবে চট্টগ্রামের। তখন রাজশাহীর সাথে রান রেট হিসাবে বসতে হবে তাদের।
এছাড়াও খুলনা যদি দুই ম্যাচ হেরে যায় তখন এক ম্যাচ জিতলেও প্লে-অফে খেলবে চট্টগ্রাম।
১০ ম্যাচে ৪ জয় ও ৬ হারে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চমস্থানে আছে খুলনা। প্লে-অফে খেলতে হলে শেষ দুই ম্যাচ তো জিততেই হবে সেই সাথে চট্টগ্রামের তিন ম্যাচে হারের প্রত্যাশায় থাকতে হবে খুলনাকে।
চট্টগ্রাম এক ম্যাচ জিতলেও এবং খুলনা দুই ম্যাচ জিতলে রাজশাহীকে নিয়ে রান রেটের হিসাব কষতে হবে খুলনাকে।
১০ ম্যাচে ৩ জয় ও ৭ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠস্থানে আছে ঢাকা। তাদের জন্য প্লে-অফে সমীকরণটা বেশ জটিল। ঢাকাকে শেষ দুই ম্যাচ তো জিততেই হবে। সেই সাথে চট্টগ্রাম ও খুলনার হারের প্রত্যাশা করতে হবে। তারপরও রান রেটের সমীকরণে পড়বে ঢাকা।
যদি চট্টগ্রাম অন্তত একটি ম্যাচ জিতে যায় তাহলে ঢাকার বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে।
১০ ম্যাচ খেলে সমান ১৬ করে পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষ দু’টিস্থানে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে রংপুর ও বরিশাল। ১১ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে থেকে প্রথম দল হিসেবে চলতি বিপিএল থেকে বিদায় নিয়েছে সিলেট।