ঢাকা, রবিবার, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, 

রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫
দেশজুড়ে৩৪ দিনেও মজুরী পাননি ৯৭৪ জন শ্রমিক: মানবেতর জীবনযাপন

৩৪ দিনেও মজুরী পাননি ৯৭৪ জন শ্রমিক: মানবেতর জীবনযাপন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশের ৮টি ইউনিয়নে চলমান ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে “অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান” কর্মসূচির আওতায় ১ম পর্যায়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে ৪০ দিনের কাজের ৩৪ দিন পেড়িয়ে গেছে (২৬ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার। কিন্তু কোনো টাকা পাননি অতি দরিদ্র শ্রমিকরা। বিশেষ করে, নারী শ্রমিকরা কাজের মজুরী না পেয়ে খেয়ে না খেয়ে বহু কষ্টে জীবনযাপন করছে বলে জানিয়েছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশের ৮টি ইউনিয়নে ৩ কোটি ১১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৪ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব প্রকল্পে কাজ করছেন ৯৭৪ জন শ্রমিক। এদের অধিকাংশই নারী শ্রমিক।

সরেজমিনে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে দেখা গেছে, বোয়ালিয়া কাঁচা সড়কে মাটি ফেলার কাজ করছেন এক দল নারী শ্রমিক। সড়কের বেশটা দূরের একটি গর্ত থেকে মাটি কেটে সড়কে ফেলছেন তারা। এ দলের সালমা খাতুন নামে এক জন শ্রমিক বলেন, আমার প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু কাজের মজুরী না পেয়ে ওষুধ খেতে পারছিনা। দিনকে দিন অসুখ বাড়ছে  বেশি অসুস্থ হয়ে গেছি। সাবিহা নামে আরেক জন শ্রমিক বলেন, আমার ডায়াবেটিস। টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছিনা। সমস্ত শরীরে ঘা বেড়িয়ে পড়েছে। ফাতেমা খাতুন বলেন, এক দিনের ভাত খাওয়ার চাল আমার ঘরে নেই। যাদের সঙ্গে কাজ করছি একটু করে চাল হাওলাত দেন। তাই দিয়ে খাবার জোটে। এ মাটি কাটা দলের সর্দার মমতা খাতুন বলেন, ২১ জন নারী শ্রমিক কাজ করছি এক দলে। ১৬ই ডিসেম্বর ও বড় দিনের ছুটি বাদে ৩৪ দিন কাজ করা হয়ে গেছে আমাদের। কিন্তু মজুরি পাইনি। আমাদের প্রায় সবার সংসারের অবস্থা দিন আনি দিন খাই।

হতদরিদ্র শ্রমিকেরা তাদের মজুরীর টাকার ওপর নির্ভর করে সংসার চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কিস্তির টাকা দিয়ে থাকেন। কিন্তু কাজ করে মজুরীর টাকা না পেয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছেন তারা।

জানা গেছে, অন্যান্য ইউনিয়নের প্রল্পের শ্রমিকরাও ৪০ দিনের কাজের ৩৪ দিনের টাকা না পেয়ে বহু কষ্টে জীবনযাপন করছেন। তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক বলেন, কোনো কোনো ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল জমা দিতে দিরে করে ফেলেছেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ফরহাদ লতিফ বলেন, সমস্ত প্রকল্পের বিল জমা দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই শ্রমিকদের মজুরীর টাকা পাওয়া যাবে।

একটি মন্তব্য করতে পারেন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

আরও খবর

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ