স্টাফ রিপোর্টার: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়ে নিজেরাই বৈষম্যর শিকার হচ্ছে বলে দাবি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পাশ কোর্সের সকল বর্ষের পরিক্ষার্থীরা। সরকার পতনের আন্দোলনের আগে তাদের আংশিক পরিক্ষা গ্রহণ করা হয়। তবে আন্দোলেনে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিক্ষা বন্ধ ঘোষণার পর থেকে অনিশ্চিত হয়ে পরে একাডেমিক পরিক্ষা।
স্নাতক পাশ কোর্সে সেশন জট একটি সমস্যা হয়ে ঘারের ওপর আছে, এই পরিক্ষা না হলে সেশন জট হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে অটোপাশের বিকল্প নেই বলে দাবী করেছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করে এমন একটি গ্রুপ জানিয়েছে, তারা এবিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে কথা বলবেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার। তারা সেখানে স্নাতক পাশ ২য়, ৩য় বর্ষের জন্য অটোপাশের জোর দাবী জানাবেন।
এদিকে ডিগ্রি (পাস) কোর্সে প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের ফলাফলের ভিত্তিতে তৃতীয় বর্ষে অটোপাশের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
১৭ই সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল থেকে “ডিগ্রি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন’র ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ডিগ্রি ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
একই দিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবরে ২০১৯-২০২০ সেশনে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ফলাফলের ভিত্তিতে তৃতীয় বর্ষের সিজিপিএ প্রকাশের জন্য আবেদন করেন।
আবেদনপত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ডিগ্রী পাস কোর্স ৩ বৎসরের হয়ে থাকলেও এপর্যন্ত ৬ বৎসর শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও তৃতীয় বর্ষের পরিক্ষা শেষ হয়নি। ডিগ্রী থেকে বিসিএস বা ভালো চাকুরির পরিক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য ২ বৎসরের মাস্টার্স করা প্রয়োজন হয়। সর্বশেষ ছাত্র-ছাত্রীর বয়স গিয়ে দাঁড়ায় ২৮/২৯ বৎসর পর্যন্ত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রী কোর্সে অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রী নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের। জীবিকার তাগিদে পড়ালেখার পাশাপাশি অনেকেই চাকুরি করেন। পরিক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য অনেকে চাকুরিও ছেড়ে দিয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৯-২০ বর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সেশন জটের কবলে পড়ে ৩বছরের কোর্স ৬বছরেও শেষ না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। সরকারের খামখেয়ালীর কারণে অবহেলার শিকার হতে হয়েছে ডিগ্রির শিক্ষার্থীদের। এতে ডিগ্রিতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অনেক শিক্ষার্থী নিহত এবং আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অনেকেই ঘর-বাড়িতে হামলার শিকার হয়েছেন। দেশের বেশির ভাগ জেলায় বন্যার কারণে শিক্ষা খাতে অসংখ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দেশের সার্বিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মানসিকতা ও অবস্থা নেই বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীর।
এ পরিস্থিতিতে আন্দোলন পরবর্তী সময়ে ২০২৪ ব্যাচের এইচএসসির শিক্ষার্থীদের প্রতি সহনশীল আচরণের মাধ্যমে অটোপাশের আওতায় আনা হয়। তাই ডিগ্রি ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের অটোপাশের আওতায় আনার দাবি জানান।
হ্যাঁ আমাদের দাবি মানতে হবে আমরা অটোপাশ চাই
দাবি মোদের একটাই অটোপাশ চাই
আমি ডিগ্রি ১৯/২০ সেশনের ছাত্রী, আমিও অটোপাস চাই,,