সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম সবুজের প্রতি স্মৃতিচারণ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা হারিয়েছি আমাদের বন্ধুকে, দেশ হারিয়েছে অত্যন্ত দেশপ্রেমিক একজন কূটনীতিককে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মহাখালী ব্র্যাক ইন সেন্টারে সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম সবুজের জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই অল্প পরিসয়ে এবং মানুষের এই অবস্থায় ভারক্লান্ত মনে খুব বেশি কথা বলতে পারা যায় না। সবুজ (সিরাজুল ইসলাম সবুজ), তার নাম চেহারের মধ্যে সব সময় সবুজ ছিলো। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। এই প্রার্থনা করছি যে, আল্লাহ তা›আলা তাকে যেনো বেহেশত নসিব করেন। আমরা হারিয়েছি আমাদের বন্ধুকে, আর দেশ হারিয়েছে অত্যন্ত দেশপ্রেমিক একজন কূটনীতিককে। তিনি বলেন, অসাধারণ দেশপ্রেমিক, ভালো বন্ধু, ভালো পিতা, ভালো স্বামী, অত্যন্ত মেধাবী, বুদ্ধিমান এবং স্পষ্টবাদী। এধরনের মানুষ সব সময় আসে না। আমাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক সেই ছাত্র জীবন থেকে। সেই ১৯৬৫ সাল থেকে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই আন্দোলনের সময় বহুবার তার বাসায় গিয়েছি। যতদিন ছিলেন, যা বলেছি তা করে দিয়েছেন। আমরা দীর্ঘ সময় আলোচনা করেছি। সব শেষে আমরা যখন জেলে গেলাম তখন দেখলাম, বিদেশে যোগাযোগ করার মাধ্যম কঠিন হয়ে গেছে। সেই সময় সবুজ অনেক ঝুঁকি নিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমার খুব আশা ছিলো যে, যখন স্বাধীন হবে তখন সবুজকে আমরা বিশাল কাজে লাগাতে পারবো। এই সংগ্রামে শুধু দু’মাসে শহীদ হয়েছে তা নয়। ১৫ বছর ধরে অসংখ্য মানুষ শহীদ হয়েছে। এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্টের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করবার জন্য রাজপথে প্রাণ দিয়েছে। সবুজ লড়াই করেছে, তার লেখনী ও কথার মধ্যে দিয়ে। সব সময় সে কথা বলেছে। ঠিক সেই সময় চলে গেছে, আমি তাকে শহীদের মর্যাদা দেয়ার চেষ্টা করছি। কারণ দেশের কথা বলতে বলতে সে চলে গেছে।
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সবুজ ছিলো স্পষ্ট ও সত্যবাদী। আমরা দেশ ও মানুষের স্বার্থে কাজ করবো। সবুজের এই দর্শনটা ছিলো লেখায়। এটা আমার জন্য খুবই ভারাক্লান্ত বিষয়।
স্মরণ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, শাহেদ চৌধুরী, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
