
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় চলন্ত ট্রেন থেকে মেঘনা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া তানভীরের (২০) মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। সম্প্রতি ফ্লাইট জটিলতায় মালয়েশিয়া যেতে না পারা হাজারো যুবকের একজন ছিলেন তানভীর।
রোববার (২ জুন) বিকেলে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মেঘনাবাজ এলাকার নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তানভীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখউড়া উপজেলার দেবগ্রামের মো. মেরাজ মিয়ার ছেলে।
নৌ-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়া যাওয়ার বিমানের ফ্লাইট বাতিল হওয়ার পর গত শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে ট্রেনে করে বাবার সঙ্গে নিজ বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ফিরছিলেন তানভীর। ভৈরবের রেলওয়ে সেতু পার হওয়ার সময়ে চলন্ত ট্রেনের দরজা থেকে মেঘনা নদীতে পড়ে যান তিনি।
তার বাবা পরবর্তী স্টেশনে নেমে ভৈরবের মেঘনা নদীতে নিখোঁজ সন্তানকে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি। নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর রোববার বিকেলে নরসিংদীর রায়পুরার মেঘনাবাজ এলাকার নদীতে ভাসমান অবস্থায় তানভীরের মরদেহ পাওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে ভৈরব নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান জানান, নিখোঁজের দুদিন পর নদী থেকে তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ৩১ মে বাংলাদেশিসহ বিদেশিদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যায়। তার আগে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে, পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৪ জন কর্মী দেশটিতে যাওয়ার অনুমোদন পান।