আজ রবিবার, ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ বর্ষাকাল, ১৯শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

রবিবার, জুন ১৫, ২০২৫
দেশজুড়েউত্তরে কালবৈশাখীর ছোবল

উত্তরে কালবৈশাখীর ছোবল

কালবৈশাখী ঝড়ে দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামসহ কয়েকটি জেলা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঝড়ে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের। লালমনিরহাটে গাছ চাপা পড়ে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩ জন। গত বুধবার মধ্যরাতে ও গতকাল বৃহস্পতিবার এই ঝড় আঘাত হানে।
দিনাজপুর প্রতিনিধি নিয়েছে, পাঁচ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দিনাজপুর। ঘরবাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটিসহ গাছপালা ও ফসলাদির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে উপড়ে ও ভেঙে পড়েছে হাজার হাজার গাছপালা। বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে এসব গাছ ভেঙে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বাড়ির ওপর গাছ ভেঙে পড়ে বাড়িঘর ভেঙে যায়। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার কাঁচা ও আধাপাকা বাড়িঘর। উড়ে গেছে ঘরের টিন। ফলে খোলা আকাশের নিচে আছে অনেকে। গত বুধবার মধ্যরাতে এই ঝড় আঘাত হানে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, গত বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৪৬ মিনিটে দিনাজপুরে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার। কালবৈশাখী এই ঝড় চলে রাত ১ টা থেকে ৫১ মিনিট পর্যন্ত। কালবৈশাখী ঝড়ের মাত্র ৫ মিনি্েটর এই তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় দিনাজপুর জেলা।
দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সল রায়হান জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে সদর উপজেলার ১২শ’ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে ও ভেঙে গেছে এই উপজেলার ৮ হাজার গাছ, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭০টি বিদ্যুতের খুঁটি।
সদর উপজেলা ছাড়াও দিনাজপুরের বিরল, বোচাগঞ্জ, কাহারোল, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর, খানসামা, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ীসহ বিভিন্ন উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক হাজার ঘরবাড়ি, উপড়ে ও ভেঙ্গে পড়েছে কয়েক হাজার গাছ, আম, লিচুসহ বোরো ও ভুট্টা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানিয়েছেন, বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও মহাসড়কে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঝড়ের পর গভীর রাত থেকেই তিনি নিজে এবং পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ উপস্থিত থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়দের দিয়ে রাস্তার গাছ অপসাররণ করান। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তিনি বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে অনেক বাড়িঘর ও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গেছে এবং তার ছিঁড়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ।

আরও পড়ুন
- বিজ্ঞাপন -spot_img

একটি মন্তব্য করতে পারেন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ

- বিজ্ঞাপন -spot_img