
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তানহা বিনতে বাশার। গতকাল সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে মোহাম্মদপুর নবীনগর হাউজিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তানহা কুমিল্লার রেসকোর্স এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। পড়াশোনা করতেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউল্যাবে। পাশেই নবীনগর হাউজিং এলাকার একটি বাসায় সাবলেট ছিলেন।
জানা যায়, কলেজ জীবন থেকেই তনহার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাইমনের। দু’জনেই কুমিল্লার বাসিন্দা। স্নাতক শিক্ষার জন্য তারা দুজনেই চলে আসেন ঢাকায়। তানহা প্রথম ভর্তি হন ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আর সাইমন ইউল্যাবে। পরে তানহা আবার ভর্তি হন ইউল্যাবে।
তানহার এক বান্ধবী জানান, ভালবাসার টানে বিশ্ববিদ্যালয় বদলানোর পর দুজনের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। শুরুটা সুন্দর থাকলেও কিছুদিন যেতেই হাজির বিপত্তি। সাইমনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ দিতে থাকেন তানহা।
কুমিল্লার বাসিন্দা তানহার আরেক বন্ধু জানিয়েছেন, বিয়ের প্রস্তাব দেওয়াতে অনেকদিন ধরেই তানহাকে অবহেলা করেছিল সাইমন। এমনকি তানহার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সাইমন। তিনি আরও জানান, তানহা কয়েকবার আত্মহত্যা করার কথা জানালে উল্টো সাইমন হাসিঠাট্টা করে তা উড়িয়ে দেয়।
সাইমনের রুমমেট রুমি জানান, তানহা দু’দিন আপ্রাণ চেষ্টা করছিল সাইমনের সঙ্গে একটু সরাসরি কথা বলতে। কিন্তু সাইমন পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। তানহার বাবা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি শুনেছি আমার মেয়েকে মানসিকভাবে অত্যাচার করেছে সাইমন। আমার মেয়েটার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছিল। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীকে আইনের আওতায় আনা হোক, এমনটাই চায় পরিবার।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তানহার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।


