
ফাইনালে শিরোপা ছুঁতে রীতিমতো রেকর্ড গড়তে হতো দক্ষিণ আফ্রিকার। আর সেখানে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ৫২ রানে হেরেছে প্রোটিয়া মেয়েরা। রান তাড়ায় প্রোটিয়া অধিনায়ক লরা ওয়লভার্টের শতরানের ইনিংসের পরও—শেষ হাসি হেসেছে ভারত। আর তাতেই নারী বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়ে, ঘরের মাঠে শিরোপা জয়ের আক্ষেপ ঘুচলো ভারতের।
দু’বছর আগে আহমেদাবাদে বিশ্বকাপ ফাইনালের আগের দিন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স জানিয়েছিলেন, তারা স্বাগতিক দর্শককে চুপ করিয়ে দিতে চান। সেই কাজে সফলও হয়েছিলেন।
কামিন্সের থেকে প্রেরণা নিয়েছিলেন লরাও। ফাইনালের আগে তিনি বলেন, ‘আশা করি আমরা জিতব। তাতে নিশ্চয়ই গোটা মাঠ নিস্তব্ধ হয়ে যাবে।’ কিন্তু এবার সেটা ঘটতে দেয়নি স্মৃতি মান্ধানার দল।
নাভি মুম্বাইয়ে আজ প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শেফালি ভর্মা ও দিপ্তি শর্মার ব্যাটে ভর করে ২৯৮ রান তোলে ভারতের মেয়েরা। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফাইনালে এর আগে ১৬৭ রানের বেশি লক্ষ্য ছুঁয়ে জিততে পারেনি কোনো দল। তাছাড়া নারী ওয়ানডে ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকাও কখনোই এত বেশি রান তাড়া করে জিততে পারেনি। জয় পেতে কঠিন রান পাহাড়ে চড়তে হতো প্রোটিয়াদের। তারা দৃঢ়তা দেখিয়ে ২০০ রান পেরোলেও ইনিংস থেমে যায় ২৪৬ রানে।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি ভারত। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে তারা তোলে ৬৪ রান। স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভর্মার জুটি ভাঙে ১০৪ রানে, স্মৃতি ফিরলে। ক্রিজ ছাড়ার আগে বাঁহাতি এই ব্যাটার ৪৫ রান করেন।
জুটি ভাঙলেও ঠিকই রেকর্ড গড়েছেন দুজন। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে এখন পর্যন্ত উদ্বোধনী জুটিতে ভারতের সর্বোচ্চ রান—মান্ধানা-শেফালির এই ১০৪ রান।
মান্ধানা ফেরার পরও থেমে থাকেননি শেফালি। ৬ রানে জীবন পাওয়া এই ব্যাটার স্বাচ্ছন্দ্যেই এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তবে দ্বিতীয়বার ক্যাচ তুলে দিয়ে আর রক্ষা পাননি। সুনে লুসের হাতে ধরা পড়ে ফিরতে হয় ৮৭ রানে। আউট হওয়ার আগে মারেন ৭ চার ও ২ ছক্কা।
দলকে ফাইনালে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জেমিমাহ রদ্রিগেজ আজ থিতু হয়েও সুবিধা করতে পারেননি। তিনি ফেরেন ২৪ রানে। অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর থামেন ২০ রানে, আর আমানজোত কৌর ব্যক্তিগত ইনিংসে যোগ করেন ১২ রান।


