
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে সন্ত্রাসীদের গুলি ও বোমা হামলায় ইমদাদুল হক (৪২) নামে এক মাদরাসা শিক্ষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
রোববার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে খুলনার কুয়েট রোড এলাকার যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখের অফিসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমদাদুল হক বছিতলা নূরানী হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন। এর আগে তিনি ইউসুফ স্কুলে শিক্ষকতা করতেন।
আহতরা হলেন ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫), বেল্লাল খান (৫৫) ও মিজানুর রহমান (৫৮)। গুরুতর অবস্থায় মামুন ও বেল্লালকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য মামুন শেখ স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তার অফিসে বসেছিলেন। ওই সময় শিক্ষক ইমদাদুল হকসহ কয়েকজন মাহফিলের সহযোগিতার জন্য সেখানে যান। রাত ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ইমদাদুল হককে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে অনিক বলেন, “মাহফিলের টাকা সংগ্রহে গিয়ে আমার বাবা মারা গেছেন। তিনি এলাকার সবচেয়ে ভালো মানুষ ছিলেন। আব্বুর স্বপ্ন ছিল আমি ডাক্তার হব।”
খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, “যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে টার্গেট করে এ হামলা চালানো হয়েছে। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তুহিনুজ্জামান বলেন, “হামলায় একজন শিক্ষক নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”


