দৈনিক দিনের কণ্ঠঃ বাঙালির প্রাণের উৎসব মাসব্যাপী ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’ শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সুরের ধারা’র শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত এবং ঐতিহাসিক ভাষার গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একুশে বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। বঙ্গবন্ধু যে সাংস্কৃতিক অগ্রগতির আকাক্সক্ষা নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একুশে বইমেলা সেই আকাক্সক্ষা পূরণের অন্যতম হাতিয়ার।
তিনি বলেন, সারাবছর বাংলাভাষী মানুষ এই মেলার জন্য অপেক্ষা করেন। এক একটি বাংলা অক্ষর আমাদের যে স্বপ্ন দেখায়, বইমেলার প্রতিটি নতুন বই তেমন বহু স্বপ্নের বীজ বপন করে যায় পাঠকের মনে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, এবার বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বইমেলা শুরু হচ্ছে। বর্তমান সরকার বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পৌঁছে দেয়ার জন্য যে অঙ্গীকার করেছে, বাংলা একাডেমি সে অঙ্গীকারের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে নিয়মিত বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ প্রকাশ করছে। ‘আমি মনে করি এক্ষেত্রে আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে এবং প্রযুক্তির পৃথিবীতে মুদ্রিত বইয়ের পাশাপাশি অডিও বুক প্রকাশ এবং বিপনণের বিষয়ও নতুন করে ভাবতে হবে।’
বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো: আরিফ হোসেন ছোটন শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, এ বছর একুশে বইমেলার চারদশক পূর্ণ হচ্ছে। দেশবাসীর সহায়তায় বাংলা একাডেমি সফলতার সঙ্গে এই বইমেলা আয়োজন করে আসছে। গত চল্লিশ বছরে বইমেলা পরিণত হয়েছে বাঙালির বৃহত্তর এক বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবে। একুশে বইমেলা ও বাংলা একাডেমি অবিচ্ছেদ্য শব্দবন্ধ।