মো. হাবিবুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: গম উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে চুয়াডাঙ্গার কৃষককুল। আগামিতে গম উৎপাদন বাড়াতে চাষিদেরকে উদ্বুদ্ধ করার হচ্ছে।ফলন কম ও রোগবালায়ের আক্রমন বেশি হওয়ায় এই উৎপাদন চুয়াডাঙ্গায় প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। কয়েক বছর আগেও জেলার সর্বত্রই গম চাষ করা হতো। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় এই চাষের পরিবর্তে ভুট্টা চাষের দিকে ঝুকেছেন কৃষককুল। ২০১৬—২০১৭ অর্থবছরে এই এলাকায় গম ক্ষেত ব্যাপক হারে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়। ঐ সময় কৃষি অফিস থেকে তিন বছর কৃষকদের গম চাষ থেকে নিরুৎসায়িত করা হয়। তখন থেকে কৃষকরা ভুট্টা চাষের দিকে ঝুকে পড়ে। জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে,৩ বছর বন্ধ থাকার পর ২০২০—২০২১ অর্থবছর থেকে আবারো চাষিদেরকে গম চাষে উদ্বুদ্ধ করা শুরু হয়। তখন থেকে জেলায় সামান্য আকােও শুরু হয় গম চাষ।২০২১—২২ অর্থবছরে জেলায় লক্ষমাত্রা নিধারন করা হয় ১০২৭ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদও উপজেলায় ৬০ হেক্টও,আলমডাঙ্গায় ৪৯৬ হেক্টও,দামুড়হুদায় ১৬২ হেক্টও ও জীবননগর উপজেলায় ৩০৯ হেক্টও জমিতে। ২০২২—২০২৩ অর্থবছরে জেলায় ১০০৭ হেক্টও এরমধ্যে সদও ৫০, আলমডাঙ্গায় ৪৫১, দামুড়হুদায় ২১৬ ও জীবননগর ২৯০ হেক্টর জমিতে। চলতি বছরে জেলায় ১০০৭ হেক্টর এর মধ্যে অর্জন হয়েছে ৯৩২ হেক্টর,সদেও ৫০,আলমডাঙ্গায় ৪৩৯,দামুড়হুদায় ২২০ ও জীবননগর উপজেলায় ২২৩ হেক্টর জমিতে।
বিষ্ণপুর গ্রামের কৃষক আবুল বাশার বলেন, তিনি প্রতিবছর গমের চাষ করতেন ২০১৭—২০১৭ অর্থবছরে তার আড়াই বিঘা জমিতে আবাদ করেছিলেন সে বছর ক্ষেতে ব্যাপক হারে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হলে পুরা ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায় এতে তিনি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। পরে কৃষি বিভাগ থেকে কয়েক বছর গম চাষ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। পরে তিনি সে জমিতে ভুট্টার আবাদ করেন এতে সে ভালো লাভবান হয়। সেই থেকে একই ভাবে ভুট্টার চাষ করে আসছিল। চলতি বছর কৃষি অফিসের পরামর্শে তিনি আড়াই বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছেন গম খুব ভালো হয়েছে ইতোমধ্যে গম ফুলে গেছে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার এই গম চাষে ভালো লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষিসম্প্রসারন অফিসার অভিজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, ২০১৬—১৭ অর্থবছরে চুয়াডাঙ্গা,মেহেরপুরসহ প¦ার্শবর্তী জেলাগুলোর গমক্ষেতে ব্যপকহারে ব্লাস্ট ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখিন হয়। তখন থেকে কয়েক বছরের জন্য গমের চাষ বন্ধ রাখার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়। বছর তিনেক পর আবারো তাদেরকে চাষ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ২২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। আগামি বছর ৪০০ হেক্টর লক্ষমাত্রা নির্ধরন করা হয়েছে আশাকরা হচ্ছে আগামি বছর লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোস্তাফিজুর রহমান মির্জা। বার্তা সম্পাদক: নাদিম হাসান মির্জা। বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): নূর মিয়া। দৈনিক দিনের কণ্ঠ মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক কমর লেন, ফকিরাপুল, ঢাকা-১২২৩ থেকে প্রকাশিত এবং টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, এসএসবি প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর: ০১৬৪৪৭৯০০৭৯, পিবিএক্স ০৯৬৩৮৮৪৩৪৬২, ই-মেইল: info@dinerkantho.com, news@dinerkantho.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। | www.dinerkantho.com