রাজশাহীতে গত ১৫ দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৪০ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এখন প্রতিদিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। শুরুর দিকে পরীক্ষায় শনাক্তের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও বর্তমানে এই হার কমেছে।
রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, ৩১ মে থেকে ফের বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। গত ১৫ দিনে সর্বনিম্ন চারটি ও সর্বোচ্চ ২৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এ পর্যন্ত মোট ১৬৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৪০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ জনের পরীক্ষা করে দুজনের করোনা শনাক্ত হয়।
রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. এসএমএম রাজিউল কারিম বলেন, গত ১৫ দিনে জেলায় ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার রয়েছে ২৬ শতাংশ। এটি বড়, কিন্তু এখনো হট জোন বলা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে সংক্রমণ শুরু হয়েছে ঈদের আগে। সব মিলিয়ে কেমন সংক্রমণ হলো সেটি বুঝতে অন্তত ৭ দিন সময় লাগবে। আমরা মানুষকে সচেতন করছি। নিরাপত্তা সামগ্রী ব্যবহার করতে বলছি।
এদিকে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত আছে ২৫ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড। গঠন করা হয়েছে চিকিৎসক-নার্সদের টিম। তবে এ বছর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী হাসপাতালে এখনো ভর্তি হননি।
রামেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খন্দকার মো. ফয়সল আলম বলেন, আশা করি, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ কিট স্বল্পতায় ভুগবে না, যদি না আবার বড় ধরনের মহামারি দেখা দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আমরা প্রস্তুত।
তবে দেশের বাইরে, বিশেষ করে ভারতের কিছু সাব-ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
অধ্যক্ষ ফয়সল আলম বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় সরকার হয়তো বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করবে। তাহলে এটা মহামারি আকারে ছড়াবে না বলে আশা করি।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কে বিশ্বাস বলেন, সবার উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং বার বার হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
