আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি, 

বৃহস্পতিবার, জুন ১২, ২০২৫

দেশজুড়েটাঙ্গাইলে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ

টাঙ্গাইলে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ

টাঙ্গাইলে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন আয়োজকরা। মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুর থেকে কালিহাতীর আউলিয়াবাদ এলাকায় জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হলে সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ করা হয়।

এর আগে শুক্রবার পারকি ইউনিয়নের ওলামা পরিষদের নেতারা বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরবর্তীতে সিনেমা বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেন তারা।

স্থানীয় কামরুজ্জামান সাইফুল ও সাজু মেহেদীর নেতৃত্বে জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস ভাড়া নিয়ে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন আয়োজন করা হয়। হলটি এক মাসের জন্য অনুমতি নেওয়া হলেও ১০ দিনের ভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে। ঈদের দিন থেকে কালিহাতীর আউলিয়াবাদসহ সারাদেশের ১৩২টি প্রেক্ষাগৃহে চলছে ছবিটি।

আন্দোলনকারী মাওলানা আব্দুল্লাহ বলেন, মসজিদ-মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানে ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া অসামাজিক কার্যকলাপ হতে পারে। সেজন্য হলটি (সিনেমা প্রদর্শন) বন্ধের জন্য বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

আয়োজক সাজু মেহেদী বলেন, কমিউনিটি সেন্টারের এসি সার্ভিস, টিকিট প্রিন্ট ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে আমাদের নয় লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। আমরা সব মিলিয়ে আড়াই দিনের মতো ছবি চালাতে পেরেছি। ভালো সাড়া পাচ্ছিলাম। এছাড়া আমাদের প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছে। পোস্টার লাগাতে দেয়নি ও মাইকিং করতে দেয়নি।

আয়োজক কামরুজ্জামান সাইফুল বলেন, শুরু থেকে ভালোই সাড়া পাচ্ছিলাম। সকালে কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হলের সামনে ব্যানারে লাগানোর পর দুই মিনিটও রাখতে পারিনি। বিভিন্নভাবে আমার কাছে হুমকি আসতে থাকে। নিরাপত্তাহীনতার অভাবে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি।

কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, আমার কাছে তারা এসেছিলেন। তাদের বলেছি, এ বিষয়ে আমি সিদ্ধান্ত দেওয়ার কেউ নই।

কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। জেলা পরিষদের হলটি ভাড়া নিয়ে তারা সিনেমা চালাচ্ছিল। এদিকে বন্ধ করার জন্য আমার অফিসে আবেদনও করেছে। তবে আমি ছুটিতে রয়েছি।

এ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের মাধ্যমে আমরা হলটি ভাড়া দিয়েছিলাম। সঙ্গে কিছু শর্তও দিয়েছিলাম। তার মধ্যে অন্যতম ছিল, সেখানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে সিনেমা চালানো বন্ধ করতে হবে। পরবর্তীতে কি হয়েছে, আর জানি না।

- বিজ্ঞাপন -spot_img

একটি মন্তব্য করতে পারেন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

আরও খবর

সর্বশেষ

- বিজ্ঞাপন -spot_img