
ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পশু কুরবানি চলছে। শনিবার ঈদের প্রথম দিনে কসাই সংকট, সময়ের অভাব কিংবা অতিরিক্ত চাপের কারণে যারা কুরবানি করতে পারেননি, তারা রোববার পশু কুরবানি করছেন।
আর ধর্মীয় বিধান অনুযায়ীও ঈদের দিন ও পরবর্তী দুই দিন অর্থাৎ ১২ জিলহজ পর্যন্ত কুরবানির সুযোগ রয়েছে।
রাজধানীর পুরান ঢাকা, লালবাগ, টিকাটুলী, মুগদা, মিরপুর ও বাসাবো এলাকায় সকাল থেকেই পশু জবাই ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের দৃশ্য চোখে পড়েছে।
রোববার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফজরের নামাজ শেষ হওয়ার পরপরই অনেক বাসিন্দা কুরবানির প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। কেউ কেউ ঈদের দিন কসাই না পাওয়ায়, আবার কেউ স্বজনদের অপেক্ষায় থেকে আজ কুরবানি দিচ্ছেন।
মিরপুর ১১ নম্বরের বাসিন্দা মৃদুল আহমেদ বলেন, ঈদের দিন কসাই পাইনি। বেশি মজুরি চাচ্ছিল। তাই দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি।
গাবতীর বাসিন্দা আলমগীর বলেন, আমাদের কসাই ঈদের দিন তিনটি জায়গায় কাজ নিয়ে ফেলেছিল। তাই আজ সকালে নিজেরাই জবাই করেছি।
মোহাম্মদপুরের গৃহবধূ মাহফুজা সিদ্দিকা বলেন, আমাদের পরিবারের আত্মীয়স্বজনরা মিলে কুরবানি করে থাকি। সবাই গতকাল ব্যস্ত থাকায় আজ সকালের সময়টাই বেছে নিয়েছি।
অন্যদিকে, সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম আজও অব্যাহত ছিল। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, ঈদের দ্বিতীয় দিনেও নির্ধারিত পয়েন্টে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্জ্য অপসারণে কাজ করছেন।
ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মী সবুজ আলম বলেন, গতকাল অনেক জায়গা পরিষ্কার করেছি, আজও সকাল থেকে কাজে নেমেছি। অনেক বাসিন্দা নিজেরাই ময়লা নির্ধারিত পয়েন্টে পৌঁছে দিচ্ছেন।