
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর সূত্রাপুর থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) একেএম হাসান মাহমুদুল কবীর তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষে তার আইনজীবী ওবায়দুল ইসলাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিপরীত পাশে স্টার হোটেলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। এ সময় আসামিরা জনতার ওপর পরিকল্পিত হামলা ও মারধর করে। এ ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা চোখে গুলিবিদ্ধ হন। পরে দীর্ঘদিন ধরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক, কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের ৯৪ জনসহ ১৯৩ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার ৪৩ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি আনোয়ারা বেগম।