
কুষ্টিয়ায় পিংকী দাস (২৫) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের শ্বশুর-শাশুড়ি, কাকা শ্বশুর ও কাকি শাশুড়ির বিরুদ্ধে এ হত্যার অভিযোগ উঠে। পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি করেছে নিহতের পরিবার।
২৬ মে, সোমবার বিকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গৃহবধু পিংকী দাস।
নিহত পিংকী দাসের মা লিপি দাস হাসপাতালের বারান্দায় ক্রন্দনরত অবস্থায় জানান, কয়েকদিন ধরে স্বামীকে শায়া-ব্লাউজ কিনে দেওয়ার কথা বলছিলেন পিংকী। স্বামী সুমন দাস সময় না পাওয়ায় পিংকী নিজেই সন্তানকে চিকিৎসক দেখিয়ে ফেরার পথে তা কিনে আনেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়িতে শুরু হয় ঝগড়া বিবাদ। একপর্যায়ে শ্বশুর ভৌগি দাস, কাকা শ্বশুর, শাশুড়ি ও কাকি শাশুড়ি মিলে পিংকীকে নির্মমভাবে মারধর করে আহত করেন।
মারধর খেয়ে পিংকী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাবার বাড়িতে চলে যান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল রোববার তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় পিংকীর মৃত্যু হয়।
নিহতের কাকা সুকুমার দাস জানান, পিংকীর স্বামী তখন বাড়িতে ছিলেন না। তবে পরবর্তীতে স্ত্রীর প্রতি তার কোনো সহানুভূতি দেখা যায়নি। তিনি কোনো খোঁজও নেননি।
জানা গেছে, ৫বছর আগে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার ত্রিবেণী গ্রামের সুমন দাসের সঙ্গে পিংকী দাসেরর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৩ বছর ও ৭ মাস বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি জানান, হাসপাতাল থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ এখনও পাওয়া যায়নি। যেহেতু নির্যাতনের ঘটনা ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানার আওতাভুক্ত, তাই মামলা সেখানে দায়ের করতে হবে। নিহত পিংকীর পরিবার এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে।