
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত নোয়াখালীর সেনবাগের যুবক শাহাদাত হোসেন শাওনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে সোমবার উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের খাজুরিয়া সর্দার পাড়ার পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশটি তোলা হয়। পরে লাশটির ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালীরতে মর্গে পাঠানো হয়।
শাওন খাজুরিয়া সর্দার পাড়ার বাছির আলমের ছেলে। চার ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার যাত্রাবাড়ীর একটি মাদ্রাসায় পড়তেন তিনি। গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে প্রাণ হারান শাওন।
লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম। এছাড়া সেনবাগ সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার কামাল উদ্দিন, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হযরত আলী মিলন, স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুল হক সুমন, যাত্রাবাড়ী থানার এসআই ইমরান হোসেন, সিআইডির একটি দল উপস্থিত ছিলেন। শাওনের বাবা বাছির আলম বলেন, ‘৫ আগস্ট বিকালে যাত্রবাড়ীতে মিছিলে অংশ নিয়েছিল আমার ছেলে। পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুরুতর আহত হয় সে। তার মাথায় গুলি লেগেছিল। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে দাফন করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে, এটা সবাই জানে। ঘটনাটি তদন্ত করলে সঠিক কারণ বেরিয়ে আসবে। আমার ছেলের হত্যায় যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ এদিকে, ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় ২০২৪ সালের আদালতে মামলা করেন বাছির আলম। পরে আর্ন্তজাতিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন তিনি। দুই মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শাওনের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ’