
নোয়াখালীর সেনবাগে এক ভাতিজার বিরুদ্ধে নিজের চাচাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবারের দাবি, বাড়ির সীমানা বিরোধ নিয়ে চাচা আবুল কাশেমকে (৭৫) খুন করেছে ভাতিজা হানিফ মোল্লা।
বুধবার সকালে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের কেশারপাড় দক্ষিন পাড়া ক্লাবঘরের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওয়াসিম নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আবুল কাশেম ওই এলাকার আবুল কাশেম ড্রাইভার বাড়ির মৃত হাশেম মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত হানিফ ওই এলাকার সোলেমান মোল্লার ছেলে।
নিহতের ছোট মেয়ে বিবি খোদেজা ও ভাতিজা শামীম হোসেন জানায়, মঙ্গলবার বিকালে বাড়ির সীমানায় আম গাছের ডাল যাওয়া নিয়ে আবুল কাশেমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হানিফ মোল্লা পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন সুরাহা করে দেবে বলে উভয় পরিবারকে শান্ত থাকতে বলে।
বুধবার ভোরে ফজরের নামাজ শেষে নাস্তা খাওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী ক্লাব ঘরের দিকে যাচ্ছিল আবুল কাশেম। পথে তার ওপর হামলা চালায় হানিফ মোল্লা, টিটু, মিঠু, ফোরকান ও ওয়াসিম। মারধরের ঘটনাটি দেখে ফেলেন আবুল কাশেমের ভাগিনা আবু তাহের। তিনি এ সময় চিৎকার দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আবুল কাশেমকে উদ্ধার করে সেনবাগ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাদিয়া আফরোজ বলেন, ‘ভোর ৬টা ২০ মিনিটে কেশারপাড় থেকে আবুল কাশেম নামে একজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনে। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।’
সেনবাগ থানার ওসি এস এম মিজানুর রহমান বলেন, হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে হানিফ মোল্লার ভগনিপতি ওয়াসিমকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। লাশ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’