চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় প্রচন্ড শীত ও কুয়াশাছন্ন থাকায় কৃষকদের স্বাভাবিক কর্মজীবনে দেখা দিয়েছিল স্থবিরতা।তীব্র শীতে ইরি—বোরো ধানের চারা রোপণ নিয়েও বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।ধানের চারা রোপনের উপযোগি হয়ে যাওয়ায় প্রচন্ড শীত ও কুয়াশাছন্ন আবহাওয়ার কারনে রোপনের ভরা মৌসুমে বোর ধান রোপন করতে না পেরে দুচিন্তায় পড়েছেন কৃষককুল।অনেক কৃষক শীতের তীব্রতা একটু কুমলে ধান লাগবেন বলছেন। ঠান্ডা জনিত কারনে বীজ তলায় চারা লাল হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সুত্রে জানাগেছে, জেলার চার উপজেলায় ৩৬ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ইরি—বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ১২ হাজার ৬৭৩ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ৮ হাজার ৪৪ হেক্টর, জীবননগর উপজেলায় ৭ হাজার ১৮৩ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।ধান রোপনের ভরা মৌসুম হলেও এখন পর্যন্ত সামান্য পরিমান জমিতে ধানের চারা রোপণ কাজ শেষ হয়েছে।চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সুত্রে জানাগেছে, রোববার(১৪ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এমন তাপমাত্রা আরো কয়েকদিন থাকতে পারে। ১৮ জানুয়ারী তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তীব্র ঠান্ডা হিমেল বাতাসসহ মৃদু সত্যপ্রবাহের কারনে কোন কাজ না থাকায় খেঁটে খাওয়া মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে।তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা আবার ধান রোপন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। দামুড়হুদা দশমী পাড়ার কৃষক সামসুল ইসলাম বলেন, চারা রোপন করার মত বয়স হয়েগেছে। জমি প্রস্তুত করা হয়েগেছে এমন ঠান্ডায় ধান লাগালে ক্ষেতে চারা মরে যাবে। চারার বয়স হয়েগেছে তারপরে ও অপেক্ষা করছি ২/৩ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা একটু বাড়লেই লাগিয়ে ফেলবো নাহলে এমন অবস্থায় বাধ্যহয়ে লাগাতে হবে। পার দামুড়হুদা গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ বলেন, চারার বয়স হয়ে গেছে শুধুমাত্র অতিরিক্ত ঠান্ডার কারনে লাগাতে পারছিনা। আবহাওয়া একটু ভালো হলেই দ্রুত লাগিয়ে ফেলবো।এমন ঠান্ডায় ধান লাগালে চারা মরে যাবে। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অভিজিত কুমার বিশ্বাস, জানান, বোরো ধান রোপনের ভরা মৌসুম চলছে অতিরিক্ত শীতের কারনে চাষীরা ধান লাগাতে পারছেনা। একটু তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেই ধান লাগানোর হিড়িক পড়ে যাবে।এমন ঠান্ডায় বীজতলা থেকে চারা তুলে ক্ষেতে রোপন করলে ঠান্ডা জনিত কারনে রোপনকৃত গাছের শিকড় ছাড়তে পারেনা। নিয়মিত সেচ না দিলে গাছ মরেযায়।তবে এখোনো ১৫দিন পরে রোপন করলেও নাবী হবেনা। যাদের চারার বয়স বেশি হয়ে গেছে এমন চাষীরা দুঃচিন্তায় আছে। তবে চারার এবার কোন সংকট হবেনা। চাষীরা প্রজোনের তুলনায় চারা বেশি দিয়েছে এবছর।