ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি, 

মঙ্গলবার, মার্চ ১১, ২০২৫
দেশজুড়েরিকশায় যাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে ছেলের মৃত্যু, আহত বাবা

রিকশায় যাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে ছেলের মৃত্যু, আহত বাবা

নরসিংদীর পলাশে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে সুমন মিয়া (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন যুবকের বাবা। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সুমন মিয়া ওই গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।

নিহতের স্বজনরা জানান, সকালে মৃত সুমনের শ্যালক বায়জিদ তার অসুস্থ মাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় রিকশা খুঁজতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে রিকশা পেলেও এর চালক জানান, তার ভাড়া আছে।  চালককে কয়েকবার অনুরোধ করার পর বায়জিদ ও তার মাকে নিয়ে যান তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হন রিকশার পূর্ব আরোহী আইয়ুব, মোমেন, তারেক, রিমন ও হিমেল। রিকশা থামিয়ে এর চালক ও বায়জিদের সঙ্গে তর্কাতর্কি করে তারা। একপর্যায়ে বায়জিদকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আইয়ুব, মোমেন, তারেক, রিমন ও হিমেলসহ অরও ১৫ থেকে ২০ জন বায়জিদের বাড়িতে যায়। এ সময় বায়জিদের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। চিল্লাচিল্লি শুনে সেখানে যান সুমন ও তারা বাবা আলম মিয়া।

দুপক্ষের বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে সুমনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। বাধা দিতে গেলে সুমনের বাবা আলম মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের মানুষ এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাবা আলম মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

নরসিংদী পলাশ থানার ওসি মনির হোসেন বলেন, ‘রিকশায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি। পরে সেটা হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। ওই সময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সুমন প্রাণ হারান। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’

একটি মন্তব্য করতে পারেন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

আরও খবর

সর্বশেষ


- বিজ্ঞাপন -spot_img