
জামাল কাড়াল, বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশালে যুবদল নেতা সুরুজ গাজী হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহিন সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শনিবার (৮ মার্চ) রাত ১১টায় ঢাকার সবুজবাগ থানাধীন মাদারটেক কাঁচাবাজার এলাকা অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিস্তার আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৮ এর অধিনায়ক জানান, গত ২ মার্চ আধিপত্য বিস্তারের জেরে নগরীর কাউনিয়া পিছনের স্কুল এলাকায় তিন নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুরুজ গাজীকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। এ সময় আরও একজন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে শাহিন গাজীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এই ঘটনায় নিহতের ভাই পরবর্তীতে কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের করে।এর প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি শাহিন সরদারকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানায় র্যাব।এদিকে সরুজ হত্যায় সকল আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার শেষে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। রোববার দুপুরে কাউনিয়া হাউজিং এলাকায় এ বিক্ষোভ হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল মহানগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক সেরাজুল হক ও সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম হাওলাদার, ওয়ার্ড শ্রমিকদল সভাপতি আতাউর রহমান, বরিশাল জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উলফাত রানা রুবেল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২ মার্চ সুরুজকে কুপিয়ে হত্যা করে গ্রেফতার শাহীন, তার স্ত্রী শাবানা, তিন সন্তানসহ বেশ কয়েকজন। এ ঘটনার পর দুই দফায় অভিযুক্ত শাহীনের কাউনিয়ার বাড়িতে আগুন দেয় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। এরপর নিহত সুরুজের ভাই শাহিন গাজী বাদী হয়ে নগর পুলিশের কাউনিয়া থানায় শাহীনকে প্রধান আসামি করে তার স্ত্রী, দুই সন্তানসহ সাত জনের নামোল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৭ থেকে ৮ জনকে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২ মার্চ সুরুজকে কুপিয়ে হত্যা করে গ্রেফতার শাহীন, তার স্ত্রী শাবানা, তিন সন্তানসহ বেশ কয়েকজন। এ ঘটনার পর দুই দফায় অভিযুক্ত শাহীনের কাউনিয়ার বাড়িতে আগুন দেয় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। এরপর নিহত সুরুজের ভাই শাহিন গাজী বাদী হয়ে নগর পুলিশের কাউনিয়া থানায় শাহীনকে প্রধান আসামি করে তার স্ত্রী, দুই সন্তানসহ সাত জনের নামোল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৭ থেকে ৮ জনকে।