
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গত ৩ ফেব্রুয়ারী উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির স্বাক্ষরিত প্যাডে বাগুলাট ইউনিয়নে ৯ সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। এবং ৩ মার্চ নতুন করে আরেকজনকে সার্চ কমিটির সদস্য করা হয়। তার প্রতিবাদে ৭ মার্চ সার্চ কমিটির সদস্য ইব্রাহিম সংবাদ সম্মেলন করেন নতুন সদস্য বিএনপির কেউ নন আখ্যা দিয়ে। তারই প্রতিবাদে রোববার সার্চ কমিটির সিংহভাগ সদস্য ইব্রাহিম আওয়ামীলীগের মদদপুষ্ট দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেন।
রোববার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম বাজারে সার্চ কমিটির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান হিরনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ ফেব্রুয়ারী কুমারখালী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরুল ইসলাম আনছার প্রামানিক ও সদস্য সচিব লুৎফর রহমানের স্বাক্ষরিত প্যাডে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে নুরুজ্জামান আলোকে আহবায়ক ও আসাদুজ্জামান হিরনকে সদস্যসচিব করা হয়। এছাড়াও ইব্রাহিম শামীম, সাইদুল বিশ্বাস, আঃ মজিদ, শাহীন উদ্দিন পিন্টু, পিয়ার আলী, রুয়েল হোসেন ও মকুলকে সদস্য করা হয়। পরবর্তীতে গত ৩ মার্চ নতুন করে বাগুলাট ইউনিয়ন বিএনপি ‘র সাবেক সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে সদস্য করা হয়।
নতুন সদস্য করায় গত ৭মার্চ সার্চ কমিটির সদস্য ইব্রাহীম শামীম সহ কয়েকজন নতুন সদস্য মোহাম্মদ আলী বিএনপি ‘র কেউ নন আখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন সামান্য ইউনিয়নে বিএনপি’র পদযাত্রাতেও যাদের পাওয়া যায়নি তারা এখন কমিটিতে। তারা বাগুলাট ইউনিয়ন বিএপির সার্চ কমিটি বাতিলের দাবি জানান।
এমন সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে রোববার বিকেলে বাগুলাট বাজারে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন সার্চ কমিটির অন্যান্য নেতকর্মীরা।
তারা দাবি করেন শামীম ইব্রাহীম আওয়ামীলীগের এমপি জর্জের আজ্ঞাবহ ছিল। সে আওয়ামীগের সময় তাদের তেলবাজি করে চলছে অথচ এখন আমাদের নামে মিথ্যাচার করেছে। থানা শাখা যে কমিটি উপহার দিয়েছে সেটা একটি সুন্দর কমিটি যেখানে ত্যাগীরা স্থান পেয়েছে।
আমরা শেখ হাসিনার সময় বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়েছি, হামলা মামলার শিকার হয়েছি। এক পক্ষ কমিটির নামে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে যার কোন ভিত্তি নেই।