প্রিন্ট এর তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৫, ১০:০৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারি ১১, ২০২৪, ৭:০৪ অপরাহ্ণ
চরফ্যাশনে যেকারণে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ চরফ্যাশন টিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী আবিদ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও এলাকা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার (১০জানুয়ারী) বিকেলে চরফ্যাশন পৌর ১নং ওয়ার্ড গ্রীণ ভিলা নামক একটি ভাড়া বাসাতে গ্রীলের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে এই অত্মহত্যার ঘটনা ঘটায় শিক্ষার্থী আবিদ । লাশ ময়না তদন্ত না করে রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ওই মেধাবীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে পুরো উপজেলার অভিভাবকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সংবাদ কর্মীদের তথ্য দিতে অনিহা প্রকাশ করেন পরিবার । সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে জনমনে । কেউ বলছেন প্রাইভেট পড়া নিয়ে চাপ সৃষ্টি করায় আত্মহত্যা করেছে। আবার কেউ কেউ বলছে মোবাইল কিনে না দেওয়ায় । এছাড়াও ফাঁসের মধ্যে আরো বেশ কিছু রহস্য লুকায়িত থাকতে পারে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির ধারণা । ওই ছোট্র শিশু ৬ষ্ঠ শ্রেণী শেষ করে মাত্র সপ্তম শ্রেণীতে উঠেছে। সে নিজে কিভাবে গলায় ফাঁস দেয়?
স্থানীরা জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যার একটু আগে ঘরের কপাটের লক ভেঙ্গে বিতরে প্রবেশ করে দেখেন সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আবিদ গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। পাশে একটি চেয়ার রয়েছে। গলায় ফাঁস দেয়া আবিদকে তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের পরিবার সেখান থেকে পৌরসভার ভাড়া বাসায় না এসে গ্রামের বাড়ি আমিনাবাদ ৫নং ওয়ার্ডে চলে যান।
নিহতের বাবা লতিফ মিয়ার হাট ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোঃ মাইনুদ্দিন জানান, ঘটনার সময় তারা কেউ বাসায় ছিলেন না। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এক আত্মীয় বাড়ি থেকে দুপুরে দাওয়াত খেয়ে বিকেল ৪টায় বাসায় ফেরেন । এসে তাঁর একমাত্র ছেলে আবিদের সাথে একখাটে শুয়ে কথাও বলেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার ইন্টারমিডিয়েট পড়ুয়া মেয়েকে বলেন কোচিংয়ে যাওয়ার সময় (ছোট ভাই) আবিদকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ।পরে তিনি ও তার স্ত্রী রোগী দেখতে পার্শবর্তী গ্রামে চলে যান। তবে বাড়িতে কি হয়েছে কিছু বলতে পারেন না। নিহত আবিদের বড় খালু ও লালমোহন উপজেলার কর্তারহাট ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা “প্রিন্স ” মৃত্যুর তথ্য জানতে গেলে সংবাদ কর্মীদেরকে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করতে না বলেন এবং সংবাদ কর্মীদের নানাভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন । আন্যদিকে কেউ যেন এই মৃত্যুর তথ্য না দেয় সেজন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
এই প্রসঙ্গে চরফ্যাশন থানার দায়িত্বরত ডিএসবি মোঃ সোহেল নিহত পরিবার ও স্থানীয়দের বরাদ দিয়ে বলেন, নিহত আবিদ তার বাবা মায়ের কাছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কিনে দিতে বলেছেন । এনিয়ে ছেলের সাথে তর্ক বির্তকের জের ধরে ছেলেকে মারধর করেছেন। মারধরের ফলে খালিঘর পেয়ে আবিদ বাবা মায়ের সাথে অভিমান করে নিজেই গলায় ফাঁস দিয়েছে এমন তথ্যই তিনি তার দপ্তরে পাঠাইয়েছেন।
চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, গলায় ফাঁস দেয়া সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আবিদ এর পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোস্তাফিজুর রহমান মির্জা। বার্তা সম্পাদক: নাদিম হাসান মির্জা। বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): নূর মিয়া। দৈনিক দিনের কণ্ঠ মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক কমর লেন, ফকিরাপুল, ঢাকা-১২২৩ থেকে প্রকাশিত এবং টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, এসএসবি প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর: ০১৬৪৪৭৯০০৭৯, পিবিএক্স ০৯৬৩৮৮৪৩৪৬২, ই-মেইল: info@dinerkantho.com, news@dinerkantho.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। | www.dinerkantho.com