
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহু বিতর্কিত জয়মন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (০৩ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী অভিযানটি পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহসিন উদ্দিন। এ সময় সেনাবাহিনী, ডিবি ও থানার বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
মেডিকেল প্যাকটিস ও বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ধারা ১৩(২) মোতাবেক ক্লিনিকের ম্যানেজার সোহেল মোল্লাকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একইসাথে সেবাগ্রহীতার জীবন ও নিরাপত্তা বিপন্নকারী সেবা প্রদান করা হচ্ছে মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় ভোক্তা অধিকার আইন, ২০০৯ এর ৫২ ধারা মোতাবেক ক্লিনিকের মালিক রহমত আলী রব্বানীকে দুই লাখ টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
সমুদয় অর্থদন্ড ২ লাখ পাঁচ হাজার টাকা ঘটনাস্থলেই আদায় শেষে জয়মন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করে দেয়া হয়। তবে ওই সময়ে একজন সিজারিয়ান রোগী থাকার কারণে তাকে ক্লিনিকটির বিপরীতে অবস্থিত মিরপুর উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতাল স্থানান্তরিত করা হয়।
জয়মন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে নানা বিতর্কিত ও অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর। সে কারণে এই অভিযান পরিচালনা হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর পরই রহমত আলী রব্বানী ও তার ছোট ভাই ইব্রাহিম আলী এবং জাহেদ আলী ৫০ শয্যা বিশিষ্ট মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির নিয়ন্ত্রণ নেন। এষানকার ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ভর্তি রোগীদের অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে ক্লিনিকে স্থানান্তরে বাধ্য করতেন তারা।
শুধু তাই নয়, তাদেরই মালিকানাধানী জয়মন ফার্মেসি হতে ওষুধ কেনা এবং অতিরিক্ত চার্জ দিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করাতে বাধ্য করানো হতো রোগী ও তাদের স্বজনদের।
ক্লিনিকটির মালিক রহমত আলী রব্বানী মিরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব।