মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ভোট গ্রহণ। জেলায় মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর নিয়ে নির্বাচনী আসন—১ ও গাংনী উপজেলা মেহেরপুর—২ আসন। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। নির্বাচনে মেহেরপুর—১ আসনে ফরহাদ হোসেন এবং মেহেরপুর—২ (গাংনী) আসনে এএসএম নাজমুল হক সাগর বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
মেহেরপুর—১ আসনে ফরহাদ হোসেন নৌকা প্রতীকে ৯৪ হাজার ৩০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রফেসর আব্দুল মান্নান(ট্রাক) পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৬৮২ ভোট। মেহেরপুর—২ গাংনী আসনে এএসএম নাজমুল হক সাগর (নৌকা) ৭২ হাজার ৭২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) পেয়েছেন৪৯ হাজার ৫৯৩ ভোট।
বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, সকালে ভোটারের উপস্থিতি কম হলেও দুপুর পরে ভীড় জমে ভোটারদের। মেহেরপুর আসনের কয়েকটি স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। সদরের কলাইডাঙ্গা ভোট কেন্দ্রে সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বর বুলবুলি খাতুনকে ভোটা কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়ায় নৌকা প্রতীকের তিন কমীর্র প্রত্যেককে ৭ দিন করে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবির হাসান। দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে— নজরুল(৬০) নিয়ামত (৫২) ও ইউনুস(৪৫)।
এদিকে মেহেরপুর—২ গাংনী আসনের সহড়াবাড়িয়া ভোট কেন্দ্রে ভোটারদেরকে প্রভাবিত করার অভিযোগে আলমগীর হোসেন নামের নৌকার এক এজেন্টকে বহিষ্কার করেন প্রিজাইডিং অফিসার। এদিকে গাংনীর নওপাড়া ভোট কেন্দ্রের বাইরে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা প্রতিহত করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের ইটের আঘাতে আশিকুর নামের এক পুলিশ কনষ্টেবল আহত হন। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমান আদালত তিনজনকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। অপর একজনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। দন্ডিত ওই ব্যাক্তির নাম আক্কাস আলী। সে নওপাড়ার নজর আলীর ছেলে।