ফের খবরের শিরোনামে কলকাতার ‘আরজি কর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল’। এবার ওই হাসপাতালের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে হাসপাতালে নয়, উদ্ধার হয়েছে তার ঘর থেকে।
জানা গেছে, ২০ বছর বয়সী ওই ছাত্রীর মা কলকাতার কামারহাটির ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসক। মায়ের সঙ্গেই ইএসআই হাসপাতালের কোয়ার্টারে থাকতেন তিনি। বাবা একজন ব্যাংক কর্মী। বর্তমানে তিনি মুম্বাইতে কর্মরত।
গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) মধ্যরাতে নিজের ঘরেই ছিলেন ওই মেডিকেল শিক্ষার্থী। তার মা ছিলেন পাশের ঘরে। মেয়ে একান্তে পড়াশোনা করছে ভেবে তাকে বিরক্ত করতে চাননি মা। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ হয়ে গেলেও মেয়ের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজার কড়া নাড়েন এবং নাম ধরে ডাকাডাকি করেন মা। কিন্তু তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মা দেখতে পান গলায় ফাঁস লাগানো মেয়ের, সিলিং থেকে ঝুলছে দেহ।
দ্রুত মেয়েকে ইএসআই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। তবে মেয়ের মৃত্যুর ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কিছুই বলতে চাননি তার বাবা-মা। এমনকি সাংবাদিকরা গেলে কার্যত এড়িয়ে যান তারা।
প্রকাশ্যে পরিবার হাতজোড় করে বলে দেন, তারা এ বিষয়ে একটি কথাও বলবেন না। ঘটনা নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকেও নীরবতা পালন করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যুর কারণ নিয়ে ফের একবার ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
গতবছর ৯ আগস্ট আরজিকর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় অভয়ার লাশ। অভিযোগ ওঠে কর্মরত অবস্থায় ওই নারী শিক্ষার্থীকে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে খুন করা হয়। এরপরই শোরগোল পরে যায় গোটা ভারতজুড়ে। সেই রেশ এখনও কাটেনি। এরইমধ্যে ফের আরজি করের আর এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু মৃত্যু। ফলে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।