নিহত তানিয়া উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের মনিবাগ গ্রামে উজ্জ্বল মিয়ার স্ত্রী ও ৫ সন্তানের জননী।
নিহতের মেয়ে জয়া বলেন, সোমবার রাতে তার বাবা উজ্জ্বল ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে ধারালো বস্তু দিয়ে রাতভর তার মা তানিয়াকে পৈশাচিক ভাবে নির্যাতন ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এসময় নিহতের ছেলেমেয়েরা বাধা দিলে তাদেরও মারধর করে। মঙ্গলবার সারাদিন তানিয়াকে ঘরে বন্দি করে রাখে। পরে জয়া ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে অবগত করলে পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তানিয়াকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করে। সেখানে তানিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যায়।
জয়া আরও বলেন, বিয়ের পর থেকে আমার বাবা মাকে মারধর করে আসছে৷ প্রায়ই সময় মারধরের শিকার হয়ে আমার মাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। এখন আমার মাকে মারতে মারতে একেবারে চিরতরে শেষ করে দিয়েছে৷ ঘাতক বাবার আমরা ফাঁসি চাই।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা ৯৯৯ খবর পেয়ে তানিয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘাতক স্বামীকে আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।