বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ইসলাম যেখানে জোট বাঁধবে, সমঝোতা হবে সেখানে। ইসলাম ছাড়া জোটও নাই সমঝোতাও নাই।
আমরা ইসলামে জন্মগ্রহণ করেছি, ইসলামে বেঁচে আছি, ইসলাম নিয়েই মরবো। ইসলাম ছাড়া আমাদের কোনো কাজ নাই।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চকবাজার থানা জামায়াতের ইউনিট দায়িত্বশীলদের বার্ষিক পরিকল্পনা ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চকবাজার থানা আমীর আহমেদ খালেদুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি সাদুর রশিদের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী, মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন ও কর্মপরিষদ সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
বক্তব্য দেন থানা নায়েবে আমীর আব্দুল হান্নান, থানা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড আমীর শহীদুল্লাহ, ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ডের নায়েবে আমীর আব্দুর রকিব, ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড সেক্রেটারি এরশাদুল ইসলাম প্রমুখ।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরও বলেন, সময়সূচি অনুযায়ী কাজ করার নাম হলো পরিকল্পনা। আমাদের এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে আল্লাহর কাছে নাজাত পেতে পারি। এমন কোনো কাজ করব না যে কাজ করলে আখরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। বিশেষ করে নিয়তের কারণে মানুষ পথভ্রষ্ট হয়ে যায়। লোক দেখানো অনুভূতি জাগ্রত হওয়া যাবে না। শেষ রাতে উঠে আল্লাহর কাছে নাজাত চাইতে হবে। আখেরাতের ক্যাপিটাল নষ্ট করা যাবে না।
নগর জামায়াতের আমীর শাহজাহান চৌধুরী বলেন, দেশ ও জাতি গঠনে জামায়াতের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। মানবজাতির কল্যাণ সাধনই জামায়াতের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য।
নগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ফ্যাসিবাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে আত্মহত্যা করেছে। আমাদের দেশ পরিচালনার জন্য যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, পজিটিভ পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে বার্ষিক পরিকল্পনার আলোকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। দায়িত্বশীলদের অনুপ্রেরণা প্রদান করে টিম স্পিরিটের মাধ্যমে সকলকে নিয়ে সংগঠনকে আরো মজবুত করতে হবে। সংগঠনের কার্যক্রম যত বেশি শক্তিশালী হবে, সামগ্রিকভাবে সংগঠন ততো সুদৃঢ় হবে।