![](https://dinerkantho.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ধর্মের বিষয়ে বাংলাদেশের তরুণেরা পক্ষপাতহীন। কাজেই বাংলাদেশে ইসলামি চরম পন্থা আসবে না।
ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট-এর বর্ষসেরা দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নির্বাচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে সাময়িকীটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। দ্য ইকোনমিস্টের ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ বর্ষসেরা হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে সাক্ষাৎকারে দ্য ইকোনমিস্টের বিদেশবিষয়ক সম্পাদক প্যাট্রিক ফোলিস প্রধান উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আনন্দিত, অত্যন্ত গর্বিত। সত্যিকার অর্থেই আমরা বড় পরিবর্তন ঘটিয়েছি। ছাত্রদের কারণেই অভ্যুত্থান ঘটেছে। তখন থেকেই আমরা বলছি, নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই আমরা।’
সাক্ষাৎকারে দ্য ইকোনমিস্টের সাংবাদিক জানতে জান, বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা ফেরার ঝুঁকি রয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন। এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে না। দেশের তরুণেরা খুবই উদ্যমী। ধর্মের বিষয়ে তাঁরা খুবই পক্ষপাতহীন। এই তরুণেরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চান।’
সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থান তরুণদের শক্তির একটি উদাহরণ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন, আমরা তরুণদের দিকে মনোযোগ দিই, বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে তরুণীরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁরা (অভ্যুত্থানে) সামনের কাতারে ছিলেন। আমাদের তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং তাঁদের স্বপ্নগুলো যেন পূরণ হয়, তা নিশ্চিত করা উচিত।’
ড. ইউনূস বলেন, অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিনজন তরুণকে অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভায় যুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা অসাধারণ কাজ করছেন।
নির্বাচনের পর কী করবেন–এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাকে তো আমার কাজ থেকে বের করে আনা হয়েছে। আমি আমার কাজ করছিলাম, তা উপভোগ করছিলাম। এ কারণেই আমি প্যারিসে ছিলাম। আমাকে ভিন্ন কিছু করার জন্য প্যারিস থেকে আনা হয়। সুতরাং আমার জীবনে সব সময় যে কাজ করেছি, উপভোগ করেছি, তাতে ফিরে যেতে পারলে খুশি হব।’