ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি, 

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
খেলাধুলাক্রিকেটবারবার রঙ বদলানো দিনে ৫ উইকেট নিলো বাংলাদেশ

বারবার রঙ বদলানো দিনে ৫ উইকেট নিলো বাংলাদেশ

বারবারই রঙ বদলালো চাপের। কখনো উইকেট নিয়ে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ, কখনো জুটি গড়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

প্রথম ও শেষ সেশনে দুই উইকেট করে নেওয়া সফরকারীরা মাঝের সেশনে সন্তুষ্ট থাকে কেবল একটি রান আউটে। ক্যারিবীয় দুই ব্যাটার সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও করতে পারেননি।

অ্যান্টিগায় দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথটি মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম দিনশেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে স্বাগতিকরা। টস জিতে ম্যাচে আগে ফিল্ডিং বেছে নেন সফরকারী অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।

বোলিংয়ের শুরুটা ‍খুব একটা আশা জাগানিয়া ছিল না বাংলাদেশের। প্রথম ঘণ্টায় কোনো উইকেটই নিতে পারেনি তারা। টস জেতার পর এই সময়টুকুই কাজে লাগাতে চাওয়ার কথা বলেছিলেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।

যদিও বারবার ব্যাটারদের পরাস্থ করছিলেন হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম, কিন্তু উইকেটের দেখা মিলছিল না। এই হতাশা অবশ্য খুব বেশি লম্বা হতে দেননি তাসকিন আহমেদ। প্রথমে তিনি ফেরান ক্যারিবীয় অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েটকে।

অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে তাসকিনের ভেতরে ঢোকা বলে আঘাত হানে তার প্যাডে। আম্পায়ার আউট দেন। রিভিউতে দেখা যায় অফ স্টাম্পে বল আঘাত করতো, যদিও ইম্প্যাক্ট ছিল আম্পায়ারস কল। ৩৮ বলে ৪ রান করে ফিরতে হয় ব্র্যাথওয়েটকে।

পরের ওভারে এসেই কেসি কার্টিকে আউট করেন তাসকিন। শূন্য রানে এই ব্যাটার ক্যাচ দেন মিড উইকেটে দাঁড়ানো তাইজুল ইসলামের হাতে। দুই উইকেট নিয়ে ক্যারিবীয়দের চাপে ফেলেন তাসকিন। সেটি ধরে রেখেই মধ্যাহ্নভোজে যায় বাংলাদেশ।

পরের সেশনে কেবল একটি রান আউটেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাাংলাদেশকে, আউট হন কেভন হজ। দুই রানের জন্য দৌড়ানোর সময় ফাইন লেগ থেকে তাইজুলের থ্রো ধরে স্টাম্প ভাঙেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। ৬৩ বলে ২৫ রান করেছিলেন হজ, ১৩০ বলে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

তার বিদায়ের পর থেকে সাবধানী ব্যাটিং শুরু করেন মিকেইলে লুইস ও আলিক আথেনেজ। প্রথম দুই সেশনে রান তোলার গতি কিছুটা মন্থর থাকলেও তৃতীয় সেশনে হাত খোলেন এই দুই ব্যাটার। তাদের ওপর ভর করে দলের দুইশ রানও হয়, জুুটিতে আসে একশ।

শেষ অবধি স্বস্তির উইকেটটি এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। লুইসের ক্যাচ ফেলে দেওয়া এই ক্রিকেটারের বলেই ফিরেন তিনি। ২১৮ বলে ৯৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। চতুর্থ উইকেটে অ্যাথানজের সঙ্গে ১৪০ রানের জুটি ছিল তার।

সেঞ্চুরি করতে না পারার আফসোস সঙ্গী হয়েছে অ্যাথানজেরও। ১৩০ বলে ৯০ রান করে তাইজুলকে সুইপ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। দিনশেষেও এতটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

একটি মন্তব্য করতে পারেন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

আরও খবর

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ