ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, 

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
দেশজুড়েবেগুন চাষে দিশেহারা কৃষক

বেগুন চাষে দিশেহারা কৃষক

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে শীত মৌসুমে রবি ফসল বেগুন ব্যাপক আবাদ হয়েছে। স্থানীয় ভাবে চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করে কৃষক ব্যাপকভাবে লাভবান হতো। প্রতিবছর ঠাকুরগাঁওয়ে  শত শত  হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ হয়। মৌসুমের শুরুতে বেগুনে মোজাইক ভাইরাস আক্রান্তে ফলন বহুগুন কমে যায়। ফুল আসলেও ফল আসেনি। মোজাইক ভাইরাস সাধারণত সাদা মাছি ভাইরাসটি  বহন করে। বাজার দোকান থেকে  বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক  ক্রয় করে প্রয়োগ করলেও, কোন প্রতিকার না পেয়ে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসার নিকট বেগুনের পাতা হলুদ বিষয়ে অবহিত করা হয়। মহামারী পরিস্থিতি সম্পর্কে  কৃষি অফিসার ও উপ-সহকারী কৃষি অফিসার  ঠাকুরগাঁও  জেলায় বেগুনের ভাইরাস সংক্রমণের  বিষয়ে উপরে কৃর্তপক্ষকে অবহিত করেন ও জেলা কমিটিতে বিস্তারিত  আলোচনা হয়। সারা জেলায় মহামারি আকারে মোজাইক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে ফলে  বেগুনের হলুদ  পাতা প্রাথমিক ছিড়ে ফেলা ও মাটিতে পুঁতে ফেলা সম্ভব হয়নি তাই ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে, বর্তমানে বেগুনের উৎপাদন কমে যাওয়ায়  বাজারে অস্বাভাবিক ভাবে  দাম বেড়েই চলেছে ।

ঠাকুরগাঁও জেলার মধ্যে হরিপুর সবচেয়ে বেশি বেগুন উৎপাদনকারী উপজেলা। ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের  ৪নং ওয়ার্ডের বেগুন চাষী মো,লুৎফর রহমান পিতা,আ,লতিব জানান আমি তিন বিঘা বেগুন চাষ করেছি,প্রায় আশি হাজার টাকা খরচ হয়েছে।  হলুদ পাতা মোজাইক ভাইরাস আক্রান্ত  জানতে পারে বিভিন্ন কোম্পানির বিষ প্রয়োগ করেও কোন লাভ হয়নি। বেগুন  ফসল কেটে এখন ভুট্টা চাষ করবো।টাকার অভাবে ভুট্টা ক্ষেত লাগাতে পারছিনা। সরকার আমাদের কৃষকদের  প্রণোদনা দিলে আমরা কিছুটা রক্ষা পেতাম। ক্ষতিগ্রস্ত বেগুন চাষীদের  রক্ষা করার জন্য  সরকারের নিকট প্রণোদনার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। এই মৌসুমে বেগুনের ফলন কম হওয়ায় দাম কমানোর সুযোগ নেই। বর্তমানে  সবজির বাজারে মূলা,কপি,শিম বরবটি,লাল শাক, দিগুণ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।

একটি মন্তব্য করতে পারেন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

আরও খবর

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ