![](https://dinerkantho.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
পাকিস্তানে গত কয়েক মাসে সুন্নি ও শিয়া মুসলিমদের মধ্যে বৈরিতা বেড়েছে। এর জেরে হামলার ঘটনাও ঘটছে। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে দুটি হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক নারী ও শিশু রয়েছে।
খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় এই হামলায় নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে সেখানকার কর্মকর্তারা। বার্তা সংস্থা এএফপিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়ার এই এলাকা আধা স্বায়ত্তশাসিত। সেখানে গত কয়েক বছর ধরেই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এতে কয়েক শ মানুষ মারা গেছেন। গতকাল শিয়া মুসলিমদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয় বলে জানান প্রদেশটির প্রধান সচিব নাদিম আসলাম চৌধুরী। হামলার শিকার ব্যক্তিরা বিভিন্ন গাড়িতে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এক বিবৃতিতে যাত্রীবাহী গাড়িতে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
কুররাম জেলাটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ-অধ্যুষিত। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। আসলাম চৌধুরী এ হামলার ঘটনাকে ‘বড় ধরনের শোকাবহ ঘটনা বলে’ বর্ণনা করেছেন।
কুররাম জেলার প্রধান শহর পারাচিনারের স্থানীয় বাসিন্দা জিয়ারাত হুসেন টেলিফোনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘সেখানে দুটি যাত্রীবাহী যানবাহনের বহর ছিল। একটি পেশোয়ার থেকে পারাচিনার এবং অন্যটি পারাচিনার থেকে পেশোয়ারে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময়ে সশস্ত্র ব্যক্তিরা তাঁদের ওপর গুলি চালায়।’ পেশোয়ার থেকে যাওয়া গাড়িতে নিজের স্বজন ছিল বলে জানান জিয়ারাত হুসেন।
এদিকে সেখানকার এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, যাঁরা নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে ছয়জন নারী ও বেশ কয়েকটি শিশু রয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ১০ জন হামলাকারী এতে অংশ নিয়েছেন। তাঁরা গাড়িগুলো লক্ষ্য করে সড়ক দুই পাশ থেকে গুলি ছোড়েন।